Suktara Tv

অজানার সন্ধানে

ভারত

পাঞ্জাব (ভারত): ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থান, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ

Table of Contents

পাঞ্জাব (ভারত): ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থান, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ

পাঞ্জাব ভারতের একটি বিশেষ রাজ্য, যেটি পাঞ্জাব অঞ্চলের বৃহত্তর অংশ গঠন করেছে। উত্তরে জম্মু ও কাশ্মীর, পূর্বে হিমাচল প্রদেশ, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে হরিয়ানা, দক্ষিণ-পশ্চিমে রাজস্থান, এবং পশ্চিমে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ভারতের, পাঞ্জাবের সীমা নির্ধারণ করেছে। পাঞ্জাব রাজ্যের রাজধানী চণ্ডীগড়ে অবস্থিত। পাঞ্জাব একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানারও রাজধানী।

পাঞ্জাব (ভারত): ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থান, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানব শুকতারা Tv র এই পর্বে।

পাঞ্জাব (ভারত) সম্পর্কে কিছু তথ্য

রাজ্য পাঞ্জাব
রাজধানী চণ্ডীগড়
জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫ হাজার
নারী / পুরুষ ৮৯.৩ / ১০০
আয়তন ৫০৩৬২ বর্গকিলােমিটার
জনসংখ্যা / প্রতি বর্গ কিমি ৫৫০
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৩,৭৩ শতাংশ (২০০১-২০১১)
সাক্ষরতার হার ৭৬.৬৮ শতাংশ
প্রধান ভাষা পাঞ্জাবি
আবহাওয়া শীত ও গ্রীষ্মের আধিক্য আছে এখানে। মে – জুনে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর নভেম্বর – ফেব্রুয়ারি প্রায় বরফ জমা ঠাণ্ডা থাকে । জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর বর্ষাকাল ।
জেলা তালিকা

২২

হাইকোর্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট

পাঞ্জাব (ভারত) ইতিহাস :

বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী ভারত রাষ্ট্রের উত্তরের রাজ্য পাঞ্জাব । পাঞ্জাবের ঘল্পর উপত্যকায় হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন মেলায় অনেকটাই নিশ্চিন্ত হওয়া গেছে এই জনপদের বয়স সম্পর্কে । খ্রি.পূ. ৫২২ সালে এই প্রদেশ ছিল পারস্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত । পাঞ্জাব নামটিও ফারসি । অর্থ পাঁচ জলাশয়ের সমারােহ । ‘ দ্য গ্রেট আলেকজাণ্ডার ‘ – ও দখল নিয়েছিলেন এই জনপদের । পরবর্তীতে রাজা চন্দ্রগুপ্তের আমলে পাঞ্জাব মৌর্য সাম্রাজ্যের মধ্যে আসে । এরপর সুলতানি শাসন বারবার বদল হতে থাকে পাঞ্জাব রাজ্যের মালিকানা । ফলে এখানকার মানুষেরও বন্দি দশা ঘােচে না । এমতাবস্থায় শুরু নানক ( ১৪৬৯-১৫৩৯ ) শিখ ধর্মের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটান পাঞ্জাবে । একই ধর্মের ছাতার তলায় আসায় রাজ্যের সাধারণ মানুষদের মধ্যে অভূতপূর্ব একতা গড়ে ওঠে ক্রমে শিখদের মধ্যে নবজাগরণ ঘটে । রণজিৎ সিংহ সময়ের সদব্যবহার করে দখল করেন লাহাের গড়ে ওঠে শিখ রাজ্য । রণজিৎ সিংহের শাসনকালে এই রাজ্য সমস্ত দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে যায় । ১৮৩০ – এ তার মৃত্যু ঘটলে শাসনভার আসে পুত্র দিলীপ সিং – এর হাতে ।

এই রাজ্যের উন্নতি চোখ টানে ব্রিটিশদের ১৮৪৯ – এ ইংরেজ দখল করে পাঞ্জাব । ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ , ১৮৫৭ – য় ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়েছিল পাঞ্জাব রাজ্য পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পারে শিখরা । ক্রমে ক্রমে পাঞ্জাব হয়ে ওঠে ব্রিটিশ বিরােধী শক্তির আখরা । অবিভক্ত বাংলা দেশের সঙ্গে পাঞ্জাবও হাতে হাত দিয়ে প্রতিরােধ গড়ে তােলে ইংরেজ রাজের বিরূদ্ধে । এখান থেকেই এ রাজ্যের ইতিহাস অন্য দিকে মােড় নেয় । পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে দমনমূলক নীতি গ্রহণ করল ইংরেজ সরকার । তারই ফসল ১৯১৯ – এর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ।

 বাংলার আদলেই পাঞ্জাবকে বারবার খণ্ডিত করা হয়েছে । ১৯৪৭ – এ দেশভাগ পাঞ্জাবের বুকে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে । রণজিৎ সিং প্রতিষ্টিত রাজ্যের রাজধানী লাহােরও চলে যায় নতুন দেশ পাকিস্তানে । ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া এই রাজ্যের মুসলিমরা চলে যাবেন পাকিস্তানে আর সেখানকার শিখরা চলে আসবেন ভারতে , এই ছিল শর্ত দেশ ভাগের । ডামাডােলকে কাজে লাগায় পাকিস্তানের দুষ্কৃতিরা । লাখাে লাখাে শিখদের হত্যা করে তারা এ ক্ষত কোনও দিনও ভুলবার নয় । এরপর ১৯৪৮ – এ ভাষার ভিত্তিতে তিনটি পাহাড়ি জেলা চলে যায় হিমাচল প্রদেশ । ১৯৬৬ – এ হিন্দু অধ্যুষিত হরিয়ানাকে আলাদা করা হয় পাঞ্জাব থেকে । যদিও এই দুই রাজ্যেরই রাজধানী চণ্ডীগড় ।

পাঞ্জাব (ভারত) ভৌগোলিক অবস্থান :

 পাঞ্জাব রাজ্যের উত্তরে অবস্থান করছে জম্মু ও কাশ্মীরের সামান্য ও হিমাচল প্রদেশের কিছুটা অংশ । পূর্বদিক ঘিরে রেখেছে হিমাচল প্রদেশ ও হরিয়ানার অংশ বিশেষ । দক্ষিণ দিকে রয়েছে হরিয়ানা । ও রাজস্থানের সঙ্গে সীমানা । আর সমগ্র পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত । 

পাঞ্জাব (ভারত) ধর্ম, প্রাকৃতিক পরিবেশ, অনন্য :

 পাঞ্জাব রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষই শিখ সম্প্রদায়ের । কেশ , কাঙ্গা , কাচ্ছা , কারা , কৃপান এই পাঁচটি জিনিস শিখদের রাখতেই হয় । লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পুরুষদের জাতীয় পােশাক । মহিলারা সালােয়ার কামিজ , হাটু পর্যন্ত জামা ও ওড়না পরেন । লক্ষ করার মতাে বিষয় সারা ভারতের মানুষের গড় আয়ু ৫০ বছর হলেও পাঞ্জাবিদের ক্ষেত্রে তা ৬৫। এ থেকেই আন্দাজ করা যায় তাদের শারিরীক ক্ষমতা কতটা । সুঠাম দীর্ঘাঙ্গ ও মনের জোর এই সম্প্রদায়কে অনেক ক্ষেত্রেই ভারত সেরা করেছে । আখ , তুলা ও তৈলবীজ উৎপাদনের তালিকায় সর্বাগ্রে এই রাজ্যের নাম পাওয়া যায় । এছাড়া মােট উৎপাদনের ২২ শতাংশ গম ও ১০ শতাংশ চাল এখানেই হচ্ছে । ১৯৮৯ – তে পাঞ্জাব সাইকেল উৎপাদনে বিশ্ব রেকর্ড করেছে । 

পাঞ্জাবের প্রাকৃতিক পরিবেশ সত্যিই দেখার মতাে । বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সবুজের সমারােহ দেখতে ও জানদার মানুষদের দেখা পেতে অন্তত একবার যেতেই হয় এ রাজ্যে । ভ্রমণকেন্দ্রগুলি অবশ্য এই যাত্রার আকর্ষণ বাড়ায় । এ প্রদেশের ভাংড়া নাচ গানের খ্যাতি সারা ভারতে । গজল , কাওয়ালিতেও অন্যান্য প্রদেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে পাঞ্জাবিরা ।

চণ্ডীগড় – পাঞ্জাব (ভারত) :

এই শহরের বয়স অর্ধ শতাব্দীর কিছুটা বেশি । রাজ্য গড়ার পর রাজধানী শহরের অভাব দেখা দিতে ১৯৫০ – এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শিবালিক পাহাড়ের পাদদেশে রাজধানী শহর স্থাপন করা হবে । পিয়েরি জিনার্ট , ম্যাক্সওয়েল ফ্রাই , করবু ও জেইন ডু – র সঙ্গে ভারতীয় স্থপতিদের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে । অত্যাধুনিক শহর চণ্ডীগড় । পরবর্তীকালে এ শহর হরিয়ানা রাজ্যের রাজধানীর দায়িত্ব পেয়েছে । বর্তমানে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা এই দুই রাজ্যের রাজধানীর ভূমিকা নিরলসভাবে পালন করে চলেছে কেন্দ্রশাসিত ঝকঝকে চণ্ডীগড় শহর ।

 সমুদ্রতট থেকে ৩৮৩ মিটার উচ্চে অবস্থিত এই শহরের বিস্তৃতি প্রায় ১১৪ বর্গকিলােমিটার । শহরকে ভাগ করা হয়েছে মােট ৪৭ টি সেক্টরে । প্রত্যেক সেক্টরই স্বয়ংসম্পূর্ণ । প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের বাস এই শহরে । এক সেক্টর থেকে অন্য সেক্টরে যাওয়ার জন্য রয়েছে সরকারি বাস , অটো ও রিকশা । 

শহরের প্রাণকেন্দ্র সেক্টর ১৭ , বাণিজ্যকেন্দ্রও বলা চলে । শপিং সেন্টার , প্যারেড গ্রাউন্ড , সরকারি অফিস , বাস টার্মিনাস , জেলা আদালত এ সবেরই অবস্থান এখানে । রাতের বেলা এই সেক্টর সেজে ওঠে ঝলমলে আলােতে । ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি সম্মান প্রাপ্ত এই শহরে দ্রুত গতি ও ধীর গতির গাড়ি যাতায়াতের রাস্তা আলাদা । সমগ্র শহরেই ফুল গাছ ও ঘাসের বাগিচা ছড়িয়ে রয়েছে ।

রক গার্ডেন :

এখানে অবস্থানকালে রক গার্ডেন । দেখতে ভুললে চলে না । শহরের জঞ্জাল , শিবালিক । পাহাড়ের পাথর মিলিয়ে তৈরি করা এই রক গার্ডেন । এখানেই রয়েছে মিউজিয়াম , মুক্তাঙ্গন থিয়েটার , কৃত্রিম জলপ্রপাত , দরবার হল , প্যাভিলিয়ন । 

শুকনা লেক : 

অদূরের শুকনা লেকটিও দেখে নেওয়া যায় একই সুযােগে । কলকাতার রবীন্দ্র সরােবর লেকের মতাে এই লেকের চরিত্র । শহরবাসীরা । সকাল সন্ধে হাঁটার জন্য আসেন এখানেই । বােটিং , রােয়িং , স্কেলিং , সেইলিং – এর ব্যবস্থাও আছে এখানে । 

চণ্ডীদেবীর মন্দির : 

কিছুটা এগিয়ে চণ্ডীদেবীর । মন্দির দেখতে পাওয়া যায় । এই দেবীর নাম অনুসারেই শহরের নাম । মন্দিরে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে হয় ।। 

সেক্রেটারিয়েট , হাইকোর্ট , বিধানসভা :

লে মাডুলাের শৈলীতে গ্রানাইট পাথর ও কংক্রিট ব্যবহারে জ্যামিতিক রূপে গড়ে তােলা হয়েছে এই তিন বাড়ি । পাঞ্জাব ও হরিয়ানা উভয় রাজ্যেরই জনপ্রতিনিধি , ২২ বিচারক ও সরকারি কর্মচারীরা কাজ করেন একই বিল্ডিংগুলিতে । সাধারণ দর্শকদের জন্য সকাল । ১০.০০-১২.০০টা সেক্রেটারিয়েট ভবনের ছাদে উঠে সমগ্র শহরকে দেখে নেওয়ার সুযােগ থাকে । বিধানসভা ঘুরে দেখার অনুমতি মেলে রিসেপশন । থেকে । অত্যাধুনিক হাইকোর্টটিও দেখার সুযােগ । পাওয়া যায় ১০.৩০-১২.৩০ ও ১৪.৩০-১৬,৩০ – এর । মধ্যে আধ ঘণ্টা অন্তর । 

ওপেন হ্যান্ড :

সেক্টর ওয়ানে , হাইকোর্টের পাশেই রয়েছে বিশালাকার মুক্ত হস্ত । ১৪ মিটার উঁচু ইস্পাতের তৈরি এই হাত হাওয়ার সঙ্গে ঘুরতে থাকে । 

মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারি :

সেক্টর ১০ – এ পাশাপশি অবস্থান মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির । রাজস্থানি , কাংড়া ও মােগল মিনিয়েচার ছবি , মডার্ন আর্টের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায় গ্যালারিতে । সংগ্রহশালায় রয়েছে গান্ধার যুগের নানান ভাস্কর্য , টেরাকোটার কাজ , ফসিল প্রভৃতি । সােমবার বাদে অন্যান্য দিন সকাল ১০.০০-১২.৩০ ও ১৪.০০ ১৬,৩০ – এর মধ্যে দেখে নেওয়া যায় এই সংগ্রহ । অদূরের ইভােলিউশন অফ লাইফ মিউজিয়ামে সিন্ধু । সভ্যতা থেকে শুরু করে বর্তমান সভ্যতার মধ্যেকার । বিবর্তনের নানান ইতিহাস জানার সুযােগ রয়েছে ।

পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় :

চণ্ডীগড়ের আরও এক দর্শনীয় স্থান সেক্টর ১৪ – তে অবস্থিত পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় । পাহাড়ের গায়ে ছড়িয়ে থাকা এই ক্যাম্পাসের কোথাও খুব নিচু আবার কোথাও উঁচু । একাধিক পার্ক ও জলাশয়ে ভরা এই চত্বরে অবস্থিত । গান্ধি ভবনটি সত্যিই দেখার মতাে । এখানকার স্টুডেন্টস ভবন , লাইব্রেরি ও ফাইন আর্ট মিউজিয়ামটি ত ঘুরে দেখা যায় । 

জাকির গােলাপ বাগ :

এশিয়ার বৃহত্তম গােলাপ ফুলের বাগিচা এটি । ২৭ একর জমির ওপর ছড়িয়ে থাকা এই বাগানে গােলাপ গাছের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার । ১৬০০ রকমের গােলাপ ফোটে এই গাছগুলিতে । অদ্ভুত এই বাগানে ঘুরতে ঘুরতে গােলাপের রকমভেদ দেখা ও পাগল করা গন্ধে হারিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতাই আলাদা ।

পাঞ্জাব (ভারত) ঐতিহাসিক স্থান :

রােপার :

 ঘিঞ্জি বাণিজ্যিক শহর রােপারে দেখার মতাে নানান বিষয় রয়েছে । সবথেকে উল্লেখযােগ্য এএসআই মিউজিয়ামটি , ১৯২৯ থেকে ৫৫ পর্যন্ত এই অঞ্চলে খনন কায় যে সকল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মিলেছে , তা সবই আছে এখানে । উল্লেখ্য এই শহরেই লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ও রণজিৎ সিংহের সাক্ষাৎ ঘটেছিল। 

কাপুরথালা :

জলন্ধর থেকে ২১ কিমি দূরে অবস্থিত কাপুরথালা প্রায় ৯০০ বছরের পুরােনাে শহর । রাজা ইব্রাহিম ভট্টি , যশা সিং আলুওয়ালিয়া ও সর্বোপরি রণজিৎ সিং – এর স্মৃতিবিজরিত এই শহরে রয়েছে গােলাপি রঙের রাজপ্রাসাদ । রণজিৎ সিং – এর গড়া এই রাজপ্রাসাদের সাজসজ্জা , কারুকার্যের সঙ্গে দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থে সমৃদ্ধ বিশালাকার লাইব্রেরিটিও দেখে নেওয়া উচিত হবে । সােনা – রুপাে দিয়ে গড়া ঘােড়ার গাড়িটি এখনও দেখতে পাওয়া যায় । এছাড়াও এখানে রয়েছে গুরদ্বারা , কারুকার্য খােচিত মসজিদ , ল কোর্ট , কাঞ্জলি লেক , হারেম মহল , ফতে সিং – এর তৈরি পাঁচ মন্দিরের মতাে আরও নানান দর্শনীয় স্থান।

পাতিয়ালা , শেরহিন্দ- অতীতে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল পাতিয়ালা । এশিয়ার অন্যতম । বিশালাকার মােতিবাগ রাজপ্রাসাদ ছাড়া আরও অনেক প্রাসাদ ও দূর্গতে সমৃদ্ধ পাঞ্জাব প্রদেশের এই শহর । মহারাজা নরিন্দর সিং – এর তৈরি মােতিবাগ প্রাসাদের অনবদ্যতা প্রমাণিত হয় কাচের কারুকার্য , ঝাড়লণ্ঠনে সমৃদ্ধ শিশমহল ও সংরক্ষণশালাটি । মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে বেশ কিছুটা সময় লাগে কারণ এখানে । রয়েছে রাজস্থানি শিল্পীদের আঁকা ছবি , হাতে লেখা পুঁথি , তরবারি ও ছােরাগুলির সংগ্রহ দেখার মতাে । 

 পাতিয়ালা অবস্থানকালে মহাকালী মন্দির , সাহিব । গুরুদ্বারা , মুবারক দূর্গ , বারাদারি উদ্যানটি দেখে নিতে হয় । শহরের কেন্দ্র থেকে আট কিমি দূরে বাহাদুরগড় 2 দূর্গটি সামান্য সময় খরচ করে দেখে আসা যেতে পারে । ২১০০ মিটার বিস্তৃত এই দূর্গ ঘিরে রয়েছে ৫৮ ফুট চওড়া পরিখা । মালেরকোটলা শহরটি পাতিয়ালা থেকে আধ ঘণ্টা দুরত্বে অবস্থিত । এখানকার রহমত দুর্গ , মুবারক মঞ্জিল , মকরা দেখে এখনও মুগ্ধ হতে হয় পর্যটকদের ।

 পাতিয়ালা থেকেই ঘুরে দেখা যায় শেরহিন্দ শহর । ১৫৫৫ – তে এখান থেকেই হুমায়ুন দিল্লি দখল করেন । দূর্গ , মসজিদ , গুরদ্বারা , মীর আলমের সমাধি , গুরু গােবিন্দের দুই ছেলের জীবন্ত সমাধি থাকায় ধর্মীয় ও পর্যটন উভয় দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ শেরহিন্দ । 

পাঞ্জাব (ভারত) অন্যান্য দর্শনীয় স্থান :

নাঙ্গল : 

পাঞ্জাব ভ্রমণে ঘুরে দেখা যায় নাদাল । ভাকরা বাধ থেকে একটি ধারাকে শিবালিক পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ তৈরির উদ্দেশ্যে । রাসায়নিক সার কারখানাও রয়েছে এখানে । কারখানা ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সম্বল করে গড়ে উঠেছে শহর । 

আনন্দপুর সাহিব , কিরাতপুর সাহিব (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

শিখদের পাঁচটি তীর্থস্থানের মধ্যে এটি অন্যতম । হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে বশিষ্ঠ মুনি এখানেই ধ্যান করতেন । রামায়ণও লেখেন বাল্মীকি মুনি এইস্থানেই বসে । ১৬৬৫ – তে ৯ ম গুরু তেগ বাহাদুরের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই শহর । তখন এইস্থানের নাম ছিল চক নানাকি । গুরু তেগ বাহাদুরের স্মারক নিয়ে । সংরক্ষণশালাও গড়ে উঠেছে এখানে । কেশগড়েই প্রথম শিখ সৈনিকদের সিং নামে উপাধিতে ভূষিত করেন গুরু গােবিন্দ সিং । গুরদ্বারা রয়েছে অনেক এখানে । শিখদের অতি পবিত্র নগরদুর্গ গুরদ্বারাটিও এখানে অবস্থিত । হােলা মহল্লা ও বৈশাখী এখানকার বিশেষ উৎসব । এই দুসময়ে এখানে উপস্থিত থাকলে আসল পাঞ্জাবকে অনুভব করা যায় ।

 আনন্দপুর সাহিব থেকে ১১ কিমি দূরে কিরাতপুর সাহিব , আরও এক পবিত্র স্থান । ষষ্ঠ গুরু হরগােবিন্দের পুত্র বাবা গুরদিট্টা এই গুরদ্বারার প্রতিষ্ঠা করেন । এইস্থানটি অনেকদিন ধরে শিখ সম্প্রদায়ের কেন্দ্রস্থলসম ছিল । এখানেই রয়েছে গুরু নানক সাহিব , গুরু হরগােবিন্দ সাহিব – এর মতাে আরও নানান গুরদ্বারা । 

নয়না দেবী মন্দির (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) :

 হিমাচল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলেও নয়না দেবীতে যাওয়ার সুবিধা পাঞ্জাব থেকে । সতীর ৫১ পিঠের একটি এটি । এখানে সতীর নয়ন । পড়েছিল , তাই এটি হিন্দুদের কাছে অতীব পবিত্র স্থান । মন্দিরের পাশে গুহাও আছে । রােপওয়ে চড়ার । অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করা যায় এখান থেকে ।

অমৃতসর (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

চণ্ডীগড় পাঞ্জাবের রাজধানী হলেও শিখ সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল তথা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর অমৃতসর । ভারত থেকে পাকিস্তান যাওয়ার একমাত্র সড়কটিও গিয়েছে এই শহর থেকেই । প্রায় সাত লক্ষ মানুষের বাস শিখদের পবিত্র শহর অমৃতসরে । একদা খালিস্তান আন্দোলনের আর্তুরঘর এই শহর আজ অনেকটাই সন্ত্রাস মুক্ত । ফলে সাধারণ ভ্ৰামণিকরা নির্দ্বিধায় ঘুরতে পারেন এখানে । রেল । স্টেশনের কাছে রয়েছে পুরােনাে ঘিঞ্জি শহর সামান্য দূরেই গড়ে উঠেছে ঝকঝকে নতুন শহর । 

ওয়াঘা বর্ডার (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) :

 ভারত পাকিস্তানের সীমান্ত এই ওয়াঘা বর্ডার । মূল শহর থেকে ২৫ কিমি দূরে । অবস্থিত সীমান্তে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা দু দেশের । সৈনিকদের মেলবন্ধন ঘটে । বাস , অটো বা ট্যাক্সি । করে শহর থেকে সীমান্তে পৌঁছে ফ্ল্যাগ ডাউন ( ১৮.৪৫ ) -এ অনুষ্ঠানটি সাধারণ ভ্ৰামণিকরাও দেখতে পারেন । পতাকা নামানাের সময় সামরিক নিয়ম মেনে মার্চ ও কুচকাওয়াজ হয় । দু দেশেরই সাধারণ মানুষরা অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে । 

স্বর্ণমন্দির (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

অমৃতসর তথা ভারতের অন্যতম ভ্রমণকেন্দ্র স্বর্ণমন্দির । অমৃতসর শহর গড়ার স্বপ্ন গুরু নানক দেখেছিলেন । তার স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত হয় সম্রাট আকবরের ফরমানে অনন্তকালীন অধিকার পেয়ে শহর গড়েন গুরু রামদাস । প্রাচীরে ঘেরা শহরে ১৮ টি ফটক রাখা হয়েছিল সেকালে । শহরের কেন্দ্রস্থলে সরােবর খননও করান তিনি । এই সরােবরের সংস্কার করে সেখানে হরমন্দির গড়েন গুরু অর্জন । তার আমন্ত্রণে ১৫৮৮ – তে লাহাের থেকে পীর হজরত মিয়ান মীর এসে এই মন্দিরে । ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন । সরােবরের জলও হয় অমৃত সমান শুদ্ধ । সেই থেকে এইস্থানের নাম হয় অমৃতসর । ১৬০৪ – এ গুরু অর্জনের লেখা আদি গ্রন্থসাহিবকে স্থাপন করা হয় হরমন্দিরে । ১৬০৬ – এ জাহাঙ্গীর অর্জনকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তার পুত্র গুরু হরগােবিন্দ শিখ ধর্ম রক্ষার্থে অস্ত্র ধরার কথা বলেন । গড়েন লৌহগড় দূর্গ । তিনবার যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে চতুর্থবার মােগল বাহিনীকে হারায় তার দল । আজকের মন্দিরটি গড়েছিলেন রণজিৎ সিং । কালে কালে এই মন্দির হয়ে ওঠে শিখ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান তীর্থস্থান । মন্দির গম্বুজ দেখে মনে হয় ওল্টানাে পদ্ম ফুল ।। সাড়ে তিন হাজার স্তোত্র লেখা আছে এই গম্বুজে । রাজা রণজিৎ সিং গম্বুজটিকে ৪০০ কেজি সােনা । দিয়ে ঢেকে দেন । মন্দিরের গায়েও রয়েছে কাঁচ ও সােনার কারুকার্য । রুপাের দরজাতেও সােনার পাত লাগে । এ থেকেই হরমন্দিরের নাম হয় স্বর্ণমন্দির । মূল দরজা ছাড়া আরও চারটি দরজা আছে এই মন্দিরে প্রবেশ করার । প্রসাদ হিসেবে মেলে হালুয়াও । দেওয়ালিতে সমগ্র অমৃতসর সেজে ওঠে । বাদ পড়ে না স্বর্ণমন্দিরও । এই দিন এই মন্দিরে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতাও অনবদ্য । গম্বুজ শিরের অকাল তখত বা দেবতার সিংহাসনটিও দেখে নেওয়া যেতে পারে । একই সঙ্গে । এখান থেকেই সমস্ত ধর্মীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । শুরুদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র সংরক্ষিত রয়েছে এখানে । মন্দির চত্বরেই রয়েছে । হরগােবিন্দের পুত্র বাবা অটল রায়ের স্মৃতিস্মারক – রূপী আট কোণের বাবা অটল গুরদ্বারা । অদুরেই শুরু কা লঙ্গর থেকে প্রসাদ সংগ্রহ করা যেতে পারে । স্বর্ণমন্দিরের প্রবেশদ্বারের কাছে মিউজিয়ামটিও দেখে নেওয়া যেতে পারে একই সুযােগে । এখানে সংরক্ষিত রয়েছে হায়দ্রাবাদের নিজাম প্রদত্ত মহামূল্যবান নানান উপহার । গুরু রামদাসের জন্মদিনেই কেবলমাত্র এই সংরক্ষণশালা সাধারণের জন্য খােলা হয় । পা ধুয়ে খালি পায়ে ও মাথা ঢেকে মন্দির চত্বরে ঢোকার নিয়ম । মাথা ঢাকার কাপড় মেলে ক্লোক রুম থেকে । 

জালিয়ানওয়ালাবাগ (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) :

 ব্রিটিশসরকারেরঅত্যাচারের প্রত্যক্ষ নিদর্শন এখনও দেখতে পাওয়া যায় । জালিয়ানওয়ালা বাগের দেওয়ালে । ম্লান মুখে এখনও এই ময়দান ব্যক্ত করছে ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ – এর ভয়ানক বর্বরতার কথা । রাওলাট আইনের প্রতিবাদে ধরনায় বসা নিরস্ত্র জনগণের ওপর জেনারেল ডায়ার গুলি চালানাের আদেশ দেন । শহিদ হন কয়েক হাজার । মানুষ । ইংরেজ সরকার ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার প্রচণ্ড চেষ্টাকরেছিল । কিন্তুতাসত্বেও দেশময়হত্যাকাণ্ডের বিরূদ্ধে প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় । ডায়ারকে লন্ডনে । পাঠিয়ে দেওয়া হয় । বর্তমানে জালিয়ানওয়ালা বাগে গড়ে উঠেছে বাগিচা । শহিদদের স্মৃতিতে বসেছে স্মারক। গ্যালারিতে ছবির প্রদর্শনীও আছে । অমৃতসর অবস্থানকালে অবশ্যই জালিয়ানওয়ালা বাগে গিয়ে ইতিহাসের সঙ্গে দেখা করে আসতে হবে । 

গােবিন্দগড় দূর্গ (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

রণজিৎ সিং ও ভাঙ্গী সর্দারের । স্মৃতিবিজরিত এই দূর্গ । ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম । দিকে গড়ে ওঠে গােবিন্দগড় দুর্গ । বর্তমানে এটি ভারতের সামরিক বাহিনীর অধীনে । 

রামবাগ উদ্যান (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

স্টেশন থেকে সামান্য দূরেই সাজানাে – গােছানাে রামবাগ উদ্যান । নানারকম ফুলের শােভার সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় রণজিৎ সিং – এর । গ্রীষ্মকালীন বাসাটি । বর্তমানে এখানেই বসেছে মিউজিয়াম । অদূরের রামবাগ গেট দেখে নেওয়াও উচিত হবে একই সঙ্গে । রবি ও সােমবাদে যে – কোনাে দিন সকাল ১০.০০-১৮.০০ – এর মধ্যে ঘুরে দেখা । যায় উদ্যানটি । 

রামতীর্থ (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রম ও রামের দুই জাঁকালাে উৎসব দেখার জন্য অনেক ভ্রামণিকই জমা হন রামতীর্থে । 

তরণ – তারণ (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

অমৃতসর শহর থেকে ২৪ কিমি দূরের এই ছােট্ট শহরেই ছিল গুরু অর্জনের বাসস্থান । গুরু রামদাসের স্মৃতিতে এখানে তিনি স্থাপন করেছিলেন গুরদ্বারা , সেও প্রায় ৫০০ বছর আগের ঘটনা । এই গুরদ্বারাকে কেন্দ্র করেই ক্রমে শহরটি গড়ে ওঠে । রাজা রণজিৎ সিং একটি বিশালাকার জলাশয়ও খনন করিয়ে ছিলেন । বর্তমানে এটি শিখ সম্প্রদায়ের অন্যতম তীর্থস্থান । 

ডেরা বাবা নানক (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

জীবনের শেষ ১২ বছর এখানেই অতিবাহিত করেছেন গুরু নানক । অমৃতসর শহর থেকে ৩৫ কিমি দূরে ভারত – পাক সীমান্ত লাগােয়া এইস্থানে তাহিল সাহিব গুরদ্বারাও আছে । মক্কা ও মদীনা ভ্রমণের সময় গুরু নানকের ব্যবহৃত পােশাকও সংরক্ষিত রয়েছে এখানে ।

 এছাড়াও অমৃতসরে দেখার মতাে আরও অনেক স্থান রয়েছে । তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল হিন্দু তীর্থ দুর্গিয়ানা মন্দির , মােগলদেরকে হারানাের স্মারকদমদমা সাহিব , গুরু তেগ বাহাদুরের বাসস্থান বাকালা গ্রাম । 

জলন্ধর (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

পাঞ্জাবের প্রাচীন শহর জলন্ধর প্রায় ২০ বর্গ কিমি বিস্তৃত । এখানকার তৈরি ফুটবলেই ২০০২ – এর বিশ্বকাপ খেলা হয়েছিল । হিন্দু রাজার রাজধানী ও মােগল সাম্রাজ্যের অন্যতম কেন্দ্রে আজ বসেছে পাঞ্জাব পুলিশের সদর । পর্যটন শিল্পে ততটা খ্যাতি অর্জন না করলেও জংশন হিসেবে এই শহরের যথেষ্ট খ্যাতি আছে । অবস্থানকালে দেখে নেওয়া । যায় ক্যান্টনমেন্ট , জামি মসজিদ , ইমাম নাসিরের সমাধি ইত্যাদি ।

লুধিয়ানা (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

এখানকার পশম , রেশম ও সুতিবস্ত্রের চাহিদা সারা ভারতে । এখানকার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও মিউজিয়ামটি দেখতে ভুললে চলবে না । লােধী বংশের রাজপুত্রদের হাতে তৈরি ৫০০ বছরের পুরােনাে শহরে এখনও বর্তমান পুরােনাে দূর্গ । আর আছে পীরই দস্তগির মসজিদ , মন্দির ও গুরু গােবিন্দ সিং – এর স্মৃতিবিজরিত গুরদ্বারা ।

হােসিয়ারপুর (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

জলন্ধর থেকে ৪৪ কিমি দূরস্থ হােসিয়ারপুরের ঠাকুর দ্বোয়ারাম টিটোয়ালি মন্দিরটি অবশ্যই দেখতে হয় । মন্দির অভ্যন্তরে শ্রীকৃষ্ণর লীলা চিত্রের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে । অবস্থানকালে বৈদিক গবেষণাকেন্দ্রর সংরক্ষণশালা ও পাঠাগারটিও দেখে নেওয়া যেতে পারে । খাজা দেওয়ান চিস্তির সমাধি ক্ষেত্রেরও পর্যটন মূল্য কম নয় । এখানকার কাঠের পুতুল , তবলা , . সেতার , হারমােনিয়ামের খ্যাতি আছে । 

ফিরােজপুর (পাঞ্জাবের দর্শনীয় স্থান) : 

ভারত – পাক সীমান্তের এই ছােট্ট শহরটিতে রয়েছে শহিদ ভগৎ সিং , সুকদেব ও রাজগুরুর স্মৃতিমন্দির । এছাড়াও এখানে রয়েছে । সারাগরহি মেমােরিয়াল গুরদ্বারা , জৈনদের শ্বেতাম্বর মন্দির , অ্যাংলাে – শিখ ওয়ার মেমােরিয়াল ইত্যাদি ।

পাঞ্জাব (ভারত) প্রশ্ন ও উত্তর FAQ :

  1. পাঞ্জাবের রাজধানী কোথায়?

Ans: চণ্ডীগড়।

  1. পাঞ্জাবের কয়টি জেলা?

Ans: ২২ টি।

  1. পাঞ্জাবের সাক্ষরতার হার কত?

Ans: ৭৬.৬৮ শতাংশ।

  1. পাঞ্জাবের জনসংখ্যা কত?

Ans: প্রায় ২ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫ হাজার।

  1. পাঞ্জাবের প্রধান ভাষা কি?

Ans: পাঞ্জাবি।

◆ আরও দেখুন :-

পাঞ্জাব (ভারত): ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থান, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ

আশা করি এই পোস্টটি বা ” পাঞ্জাব (ভারত): ইতিহাস, ঐতিহাসিক স্থান, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ” থেকে আপনি উপকৃত হবেন। প্রতিদিন এরম আশ্চর্যজনক, রোমাঞ্চকর, অজানা এবং অদ্ভুত বিষয় সম্পর্কে জানতে এই SuktaraTv.com ওয়েবসাইট ফলো করুন, ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *